Browsing Category "শিক্ষা"

Browsing "Older Posts"


পোলা ও পোলা রে তুই অপরাধী রে/আমার যত্নে গড়া ভালোবাসা দে ফিরাইয়া দে’- গত শনিবার থেকে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সেই মেয়ের পুরো নাম টুম্পা খান সুমী। পড়াশুনা করছেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে। এ বয়সেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। টুম্পার এ গান এখন তরুণ-তরুণীদের মুখে মুখে। টুম্পার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা গানটি এরইমধ্যে দেখে ফেলেছেন ৫০ লাখের ও বেশি মানুষ। তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ২৮ লাখ মানুষ গানটি দেখেছেন। গত ২৬ এপ্রিল ঈগল মিউজিক প্রকাশ করে তরুণ শিল্পী আরমান আলিফের ‘অপরাধী’ গানের মিউজিক ভিডিওটি। দুই মাস পর গিটার হাতে টুম্পা গাইলেন গানটি। গানটিতে উঠে এসেছে ভাঙা প্রেমের জলছাপ। গানের কথা ও সুর নিজের না হলেও সাবলীল গায়কী, গাওয়ার ভঙ্গি এবং গায়কীতে সারল্য ও আকুতি রাতারাতি গানটি জনপ্রিয় করে তোলে বলে মনে করছেন অনেকেই। শনিবার বিকেলে এসব বিষয়ে সমকাল অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় টুম্পার- গানটি ভাইরাল হওয়ার কারণ কি? আমি সব সময় সফ্‌ট গান করি। গাওয়ার সময় নিজেই ইন্সট্রুমেন্ট বাজাই। তখন গানটি ভাইরাল হওয়ার কথা কল্পনাও করিনি। গানটি দরদ দিয়েই গাওয়ার চেষ্টা করেছি। জাস্ট গানটি গেয়ে দ্রুত ফেসবুক ও আমার ইউটিউব চ্যানেলে আপ করি। তারপর থেকে তো দেখলাম গানটি রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। দেখলাম বহু মানুষ গানটি শেয়ার দিচ্ছেন। দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ আমাকে ফোন দিচ্ছে। সবাই আমার গায়কীর প্রসংশা করছেন। আমার ফেসবুক আইডিতে ১৫ লাখ এবং ইউটিউব চ্যানেলে গানটি ২৮ লাখ ভিউ হয়ে গেছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গানটি শেয়ার হয়েছে। সেই সব আইডির ভিউয়ের হিসাব আমার কাছে নেই। লেখাপড়া কোথায় করছেন? আমি এবার বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ইকোনমিকসে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছি। গানে হাতেখড়ি কিভাবে? আমার বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে। ছোটবেলা থেকে গান শুনি। শুনে শুনেই গান গাওয়া শুরু। সিরাজদিখানে গান শেখার তেমন ব্যবস্থা ছিল না। ফলে গান শেখার তেমন সুযোগ ছিল না। তবে স্থানীয় একজনের কাছ থেকে কিছুদিন তালিম নিয়েছি। নিজে গিটার বাজিয়ে গান করেন- সেটা কিভাবে শিখলেন? ইউটিউব থেকে গিটার বাজানো কিছু কৌশল জেনেছি। পরবর্তীতে গিটার নেভার লাইজ (জিএনএল) স্কুল থেকেও গিটার বাজানো শিখেছি। আপনার পরিবারে আর কে আছেন? আমার পরিবারে বাবা-মা ও দুই ভাই। বাবা-মা গ্রামেই থাকেন। বাবার স্থানীয় রেন্ট-এ কারের ব্যবসায় একটি গাড়ি আছে, তিনি নিজেই সেটি চালান। ঢাকায় আমার অনেক আত্মীয় রয়েছেন। এতোদিন এক আত্মীয়ের বাসায় থাকতাম। প্রাণ লেয়ার কর্তৃক আয়োজিত গানের প্রতিযোগিতা ‘প্রাণ লেয়ার দ্যা মায়েস্ট্রো’র সেরা ১২-এ আছি। এজন্য রিহার্সেল করতে হয় নিয়মিত। ফলে এখন এক বান্ধবীর বাসায় থাকছি। এর আগে আমি গাজী টায়ারসের ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া এবং গান ধরে রাখাই আপাতত উদ্দেশ্য। ‘অপরাধী’ গানটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে অনেক সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই ডাকছেন, তবে ভালো মানুষের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেলে করবো। গান গাওয়াটা ধরে রাখতে চাই; কারণ গানই আমার প্রাণ। আমার কোনো মৌলিক গান নেই। ইচ্ছে আছে মৌলিক গান শুরু করার। সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে.? একটি গানের কারণে মানুষের প্রচুর ভালোবাসা পাচ্ছি। আমার এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানুষের ভালোবাসার মূল্য দেওয়া। আমাকে সবাই যে অবস্থানে নিয়ে গেছে, সেই অবস্থানটা ধরে রাখা আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

পোলা ও পোলা রে তুই অপরাধী রে গানটি ভাইরাল হবে কল্পনাও করিনি

By SHAMIM LEM →

প্রতিটি মেয়ে গোপনে গোপনে এই ১০টি কাজ করে থাকে ছেলেরা যদি এটা পড়ে তাহলে বুঝতে পারবে তাদের আশেপাশের মেয়েরাও অনেক অরুচিকর জিনিস করে যেগুলি তারা কোনদিনও বলে না। আমরা মেয়েরা নিজেদেরকে স্রবোতকৃষ্ঠ ভেবে ছেলেদের অগোছালো নোংরা, আরও কি কি না ভাবি, কিন্তু আসলে আমরাও ছেলেদের মতই আচরণ করি! তাই, এখানে একটা তালিকা দেওয়া হল যা মেয়েরা কখনো স্বীকার করে না। ১. গোপনাঙ্গ সেভ করা এবং পরে অনুশোচনা করা। গোপনাঙ্গ সেভ করা অনেক সময়ই সর্বনাশা হয়। অল্পক্ষণের জন্য মসৃণতা পাওয়া গেলেও পরে যা চুলকানির অভিজ্ঞতা হয় তা নরকের মত। তখন আমাদের অনুশোচনা হয়। কিন্তু তাও বয়ফ্রেন্ডের সাথে যাওয়ার আগে আমরা আবার এই ঘটনা ঘটাই। ২. Poop স্টিগমা মেয়ে আর পাবলিক ওয়াসরুম; না কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমরা পাবলিক ওয়াসরুমকে ঘৃণা করি এবং এটাকে কখনো ব্যবহার করার কথা অস্বীকার করি। পাবলিক ওয়াসরুমে পায়খানা করার সময় যদি পাশের ওয়াসরুমে কেউ আসে তাহলে আমরা জোর করে চেপে বসে থাকি যতক্ষণ না পাশের ওয়াসরুমের লোকটি চলে যাচ্ছে। যদিও আমাদের কেউ দেখতে পাচ্ছে না তবুও পুরো ব্যাপারটাই আমাদের কেমন অস্বস্তি হয়। ৩. ব্রা কখনো নোংরা হয় না। এই কথাটি সব মেয়ে বিশ্বাস করে যেঃ ব্রা নোংরা হয় না তাই অনেক দিন না কাঁচলেও চলে যায়। যদিও আমাদের প্রচুর ব্রা আছে তাও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আমরা একই ব্রা বার বার পড়ি। ৪. আমরা চিড়ুনি পরিষ্কার করি না। হ্যাঁ! আমরা পরিষ্কার করি না। আমরা আশা করি চিড়ুনিটা নিজে থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং সেটা যখন হয় না, তখন আমরা একটা নতুন চিড়ুনি কিনে নিই। ৫. আমরা কাঁদার সময়ও নিজেদের সুন্দর দেখতে চাই। আমরা কাঁদার সময়ও নিজেদের বার বার আয়নাতে দেখার চেষ্ঠা করি আমাদের কি রকম দেখাচ্ছে বোঝার জন্য। হ্যাঁ! আমরা কাঁদার সময় নিজেদের সেলফিও তুলি। ভেজা চোখ, লাল নাকে আমাদের সেক্সি দেখায় না, তবুও। ৬. মেয়েরাও নাক খোটে। আমাদের গা ঘিনঘিন করে যখন কেউ আমাদের সামনে নাক খোটে কিন্তু আমরাও একই কাজ করি। কিন্তু আমরা তা করি সবার অলক্ষ্যে যখন আমাদের আশেপাশে কেউ থাকে না। ৭. আমরা রোজ স্নান করি না। এই পৃথিবীতে কে রোজ স্নান করে? আমাদের হাইজিন অনেক সময়ই প্রশ্নের সামনে পড়ে যখন আমরা বেশ কিছুদিন স্নান না করেই কাটাই, তারপর মাথা পাগলের মত চুলকাই এবং মাথা থেকে বরফের মত খুসকি ঝরে পড়া দেখি তারপর ড্রাই স্যাম্পু ব্যবহার করে নিজেদের সান্তনা দিই। স্নান করার সময় নেই? কোন ব্যাপার নয়, বগল ধুয়ে পারফিউম লাগিয়ে নাও। মুখ ধোয়ার সময় নেই? কোন ব্যাপার নয়, কালকের মেকআপের ওপরই আজ আবার নতুন করে মেক আপ লাগিয়ে নাও। ৮. কাপড় কাছতে গা ঘিনঘিন করে। আমরা সবাই অন্তর্বাস উল্টে বোঝার চেষ্ঠা করি যে কোন বাজে গন্ধ আসছে না তো বা সেটাকে আরও কয়েক বার পড়া যেতে পারে । কিন্তু এত কিছুর পরেও আমরা কাপড় কাছতে চাই না। ৯. যে লোকেদের পচ্ছন্দ নয় তাদের সাথে মনে মনে মিথ্যা ঝগড়া করা। মেয়েরা সাধারণত সবসময় কথা কাটাকাটি করতে তৈরি থাকে। আমরা ঝগড়া হওয়ার অপেক্ষায় থাকি। আমরা কথা কাটাকাটির জন্যই বেঁচে আছি। আর অবশ্যই আমরা ডাইলগ দেওয়ার জন্য সবসময় তৈরি থাকি। আমরা যাকে অপচ্ছন্দ করি তার সাথে ঝগড়া করার কথা আগে থেকেই ভেবে রাখি! আমরা এদের অপমান করার কোন সুযোগই ছাড়ি না। ১০. এই পোস্টা পড়বে, সব কিছু অস্বীকার করবে। আবার পাঁচ মিনিট বাদে নিজের মনে সব কিছু মেনে নেবে। মেয়েরা তোমরা সবাই জানো, আমরা সবাই এই রকম কাজ করে থাকি এবং কখনও তা স্বীকার করি না এবং অদূর ভবিষ্যৎতেও স্বীকার করার কোন ইচ্ছা নেই।

প্রতিটি মেয়ে গোপনে গোপনে এই ১০টি কাজ করে থাকে

By SHAMIM LEM →
নিহতের স্বামী রেজাউল হক জানান, শুক্রবার আমার স্ত্রী মলেকা বেগম আমার ছেলের বউ আখি বেগমের কাছে খাবার চায়। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক্ষন যাবত কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেত ধরে মধ্যরাতে আবারও ঝগড়াঝাটি এবং কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী মলেকা বেগমকে ব্যাপক ভাবে লাথি উস্টা চর থাপ্পর দিয়ে মারধোর শুরু করে পুত্রবধু আখি বেগম। নির্যাতনের মুখে আমার স্ত্রী মারা গেলে তাকে আখি বেগম রশি দিয়ে আমগাছে ঝুলিয়ে রাখে। বিষয়টি আমি পুলিশকে জানাই। পুলিশ শনিবার সকালে এসে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের দেবর আনোয়ার হোসেন জানান, রাত ১টার দিকে ভাতিজা মাসুম মিয়া আমার বাড়িতে এসে বলে চাচা মা তো মারা গেছে। এসময় সে একটি লাঠি নিয়ে তার স্ত্রীকে মারার জন্য খুঁজতে থাকে। আমরা গিয়ে দেখি লাশ আমগাছে ঝোলানো। নিহতের পুত্র মাসুম মিয়া জানান, আমি আমার মায়ের জন্য কোনো কিছু আনলে আমার স্ত্রী সেটা কোনোভাবেই সহ্য করত না। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে খুব ঝগড়া হতো কথা এবং কথা কাটাকাটি হতো। আমি মাকে কিছু দিতে গেলেই সে গালিগালাজ করত, ঝগড়া করত। আমার শাশুরি বলতো মায়রে নিয়া খাও আবার বিয়া করছো কেন.? লাশ উদ্ধারকারী কোতয়ালী থানার এসআই মনোয়ার হোসেন জানান, লাশের শরীরের বিভিন্নস্থানে ৬টি মারাত্মক জখমের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারনা নির্যাতন করে মেরে ফেলার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহদের স্বামীর কথা একটি ইউডি মামলার সূত্র ধরে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা না হত্যা তা তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না।

খাবার চাওয়ায় শাশুড়িকে মেরে তার লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখল পুত্রবধূ

By SHAMIM LEM →
গত ৫ জুন খালেদা জিয়া দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। নিকটাত্মীয়রা বলেছেন, তিনি তিন সপ্তাহ যাবৎ ভীষণ জ্বরে ভুগছেন যা কোনোক্রমেই থামছে না। চিকিৎসা বিদ্যায় যেটিকে বলা হয় টিআইএ (ট্রানজিয়েন্ট স্কীমিক এ্যাটাক)। বেগম জিয়ার দুই পা এখনো ফুলে আছে। তিনি তার শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছেন না। শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিকটাত্মীয়রা তার সঙ্গে ঢাকা পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাতের জন্য গিয়েছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে তারা দেশনেত্রী সম্পর্কে যে বর্ণনা দেন তা শুধু মর্মস্পর্শীই নয়, হৃদয়বিদারক। সরকারের জিঘাংসার কষাঘাতের তীব্রতা যে কত ভয়াবহ সেটি বোঝা যাবে শুধুমাত্র বেগম জিয়ার প্রতি অমানবিক আচরণের মাত্রা দেখলেই। এদিকে রিজভী বলেন, বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে আমি যে কথাগুলি বললাম তা সম্পূর্ণরূপে সত্য-এ চ্যালেঞ্জ দিয়ে তিনি বলেন, তার অসুস্থতা নিয়ে ইতিপূর্বেও যে কথাগুলো বলা হয়েছে তা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ হলে তার স্বাস্থ্যের এতটা অবনতি হতো না। সরকারের ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে বেগম জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।   বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, সরকার এক অশুভ উদ্দেশ্য নিয়েই বেগম জিয়ার সুচিকিৎসায় বাধা প্রদান করছে। সরকারের অভিপ্রায় নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রবল সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে যে, আসলে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে নিয়ে সরকার কী করতে চায়? রিজভী অবিলম্বে বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করানোর জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় সরকারের সকল অমানবিক অবিচারের জন্য দায়ী থাকতে হবে-বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। গত ২১ মে বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবরে আবেদন করেছিলেন জানিয়ে রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চারজন চিকিৎসককে কারাগারে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য। কিন্তু এ বিষয়ে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো সাড়া দেয়নি। এতে মনে হয় সরকার এবং সরকার প্রভাবিত প্রশাসনযন্ত্র বেগম জিয়াকে নিয়ে কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

খালেদা জিয়া সেদিন কেন মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন.?

By SHAMIM LEM →



গানের কপিরাইট সংক্রান্ত নিয়ে আসিফ আকবরের সাথে শফিক তুহিন ও প্রীতমের সমস্যা হয়েছে। কিন্তু আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায়। আসিফের ভক্তরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। কপিরাইট আইনে তো কখনো গ্রেপ্তার হয় না। তাহলে আমাদের প্রিয় শিল্পীকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো. ? আর মামলা কেন হলো? শফিক তুহিন ৫৭ ধারায় মামলা করলেন কেন? এমন সব প্রশ্নে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপার। ঘটনার সূত্রপাত চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে ঘিরে। চ্যানেলটির 'সার্চলাইট' নামের একটি অনুষ্ঠান রয়্যাল্টির টাকা কোথায় যায় এই নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে যেখানে দেখা যায় আসিফ আকবর ৬১৭টি গান গীতিকার-সুরকারসহ সবার পক্ষে সাক্ষর করে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে বিক্রি করেছেন। এই ভিডিও শেয়ার করে বেশ ক'জন শিল্পী প্রতিবাদ জানান। যার মধ্যে শফিক তুহিনও একজন। এরপর আসিফ 'সার্চলাইট' এর প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দিতে এসে ফেসবুক লাইভে শফিক তুহিন প্রীতমসহ বেশ কজন সঙ্গীত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলেন। শফিক তুহিন  বলেন, এটা ছিল মানহানির মামলা। ৫৬(২) ধারার মামলা ছিল। যেটা পরে আইটি মামলা হিসেবে গৃহীত হয়। এই বক্তব্যকে উদ্ধৃতি করে শফিক তুহিন আসিফের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মানহানির মামলা করেন। শফিক তুহিনকে কী বলেছিলেন আসিফ?   আসিফ তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের লাইভে এসে বলেন, শফিক তুহিন হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে নোংরাতম কীট। এখন এদেরকে শায়েস্তা করতে হবে। শফিক তুহিনের ইতিহাসের শেষ নাই। শুধু বলবো- নষ্ট, নোংরা, সাইকো, অসভ্য একটা ছেলে। এদেরকে যেখানে পাবেন, ফেসবুকে হোক হোক আর ভার্চুয়াল মিডিয়া যেখানে পাবেন প্রতিহত করবেন। তাদেরকে প্রতিহত করবেন। শফিক তুহিনের ভাষ্য, এরপর থেকেই তাকে ক্রমাগত হত্যার হুমকি দিচ্ছিল অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। যার কারণে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। আসিফ বলেন, শফিক তুহিনের বড় ভাই তুফান। তাদের আব্বা দর্শনার কেরু কম্পানিতে কাজ করতেন। সেখানেই তারা বড় হয়েছেন। গীতিকার প্রদীপ সাহা অন্ধ হয়ে গেছেন শফিক তুহিনের কেনা কমদামি স্পিরিট খাওয়ার কারণে। শফিক তুহিনের পরামর্শেই তার এই অবস্থা হয়। ওরা প্রদীপ সাহার কাছ থেকেই খেত। ওরা নিজের টাকায় কোনওদিন মদ খেয়েছে কিনা আমি জানি না। আসিফ বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে জুতাপেটা করা হয়েছিল একটি মেয়ে কী পরিমাণ বাধ্য হলে এ কাজ করে। আসিফ ভিডিওতে বলেন , শফিক তুহিন ও প্রীতম আহমেদ আমার নামে প্রচারণা চালাচ্ছেন যে আমি নাকি তাদের ১০০ কোটি টাকা মেরে দিয়েছি। এরপরই তিনি বলেন, প্রীতমের অনেক তথ্যই জানি আমি, আমার কাছে প্রীতম কোথা থেকে মাদক কিনতো সেই খবরও আছে। সেসব পুরনো কথা টানতে চাই না। এছাড়াও সঙ্গীতশিল্পী প্রীতমেরও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেন আসিফ। শফিক তুহিন আসিফের বক্তব্যকে মানহানিকর উল্লেখ করে গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব কথা আসিফ বলেছে। আমি সেসব শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তার ভক্তদের উস্কে দেওয়া হয়েছে আমাকে প্রতিহত করার জন্য। ক্রমাগত আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বিভিন্নজন ফোন করে আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি সাধারণ নাগরিক হিসেবে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। তবে আসিফের এই গ্রেপ্তারকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন ভক্তরা। গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বেশ ক'জন সঙ্গীতশিল্পী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে তাঁরা আসিফের দ্রুত মুক্তি কামনা করেছেন। এদিকে সঙ্গীত পরিচালক শওকত আলি ইমন বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, একইসাথে এইসময়ে  জেষ্ঠশিল্পীদের পাশে চেয়েছেন।

৫৭ ধারায় কেন আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল?

By SHAMIM LEM →


সবারই কিন্তু জানা ১ দিন =২৪ ঘণ্টা। যদি এমন হয় ২৫ ঘণ্টায় ১ দিন। বিষয়টি বিস্ময়ের কারণ হলেও সত্যিই এমনটাই হতে চলেছে আগামী দিনগুলোতে ।

বাড়ছে দিনের পরিমাপ! আর ২৪ ঘণ্টায় ১দিন হবে না, ১ দিন হবে ২৫ ঘণ্টায়। খবরে বলা হয়েছে, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন ম্যাডিসন’র গবেষকরা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

গবেষকরা বলছেন, ১০০ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে দিনের মাপ ছিল ১৮ ঘণ্টা। ক্রমে সেই মাপ বেড়ে পৌঁছেছে ২৪ ঘণ্টায়। আর আগামীতে হতে চলেছে ২৫ ঘণ্টায়। যার ফলে দিন আরও লম্বা হয়ে যাচ্ছে। ইয়াহু নিউজ।

সামনে থেকে ২৫ ঘণ্টায় হবে একদিন!

By SHAMIM LEM →
ইউটিউবের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে এক ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের ভিডিও এবার পোস্ট করার সুযোগ চালু করতে যাচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। এরই মাধ্যমে ফিউচারটি চালুর জন্য কাজও শুরু করে দিয়েছে ছবি বিনিময়ের অ্যাপটি। তবে ইনস্টাগ্রামের আলাদা কোনো বিভাগে নাকি মূল ফিডে ফিচারটি যুক্ত হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। ইনস্টাগ্রামে বর্তমানে সর্বোচ্চ এক মিনিটের ভিডিও বন্ধুদের কাছে পাঠানো যায়। সূত্র : মেইল অনলাইন

এবার এক ঘণ্টার ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা যাবে

By SHAMIM LEM →
গত ১৪ মে থেকে সকল জি-মেইল গ্রাহক ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই বার্তা আদান-প্রদান থেকে শুরু করে অন্যান্য সুবিধা পাবেন। জি-ইমেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই বার্তা আদান-প্রদান করা যাবে কোনো রকম বিড়ম্বনা ছাড়া । সেই সঙ্গে নোটিফিকেশনও ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই আসবে। ২০০৪ সালে সেবা দেওয়া শুরু করেছে জি-মেইল। এর ১৪ বছর পর এসে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই জি-মেইল কর্তৃপক্ষ। ডেস্কটপে ক্রোম (ভার্সন ৬১) ব্যবহারকারীরাও এই সুবিধা পাবেন। এই ভার্সন ছাড়া গুগল ক্রোমের কাছাকাছি অন্য ভার্সন ব্যবহারকারীরাও  সেই সুযোগ পাবেন। এজন্য শুধু মাত্র একবার ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার পর পরবর্তী সময়ে আর ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে না। সে ক্ষেত্রেও স্বাভাবিকভাবে মেইল আদান-প্রদান করা যাবে ইন্টারনেট ছাড়াই।

জি-মেইল এবার ইন্টারনেট ছাড়াই কাজ করবে !

By SHAMIM LEM →

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ সদরের কেওয়াটখালী এলাকার রেলওয়ে ব্রিজের নিচ থেকে সাব্বির ( ৩৩) সোহান (৩৫) এবং ইদ্রিস(৪২)নামে তিনটি লাশ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত সাব্বিরের বিরুদ্ধে মাদক আইনে বারটি ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে আটটি ও সোহানের বিরুদ্ধে ৬ টি মামলা রয়েছে। তবে কি কারনে কে বা কারা তাদের হত্যা করেছে এখনও তা নিশ্চিত নয় পুলিশ। ০৫ জুন, মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ১০:৪৫ মিঃ সময় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা সূত্রে জানা যায়,স্থানীয়রা তাদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করেন এবং ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

তিন মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

By SHAMIM LEM →
নাম রুমি আক্তার, কিন্তু তিনি ইয়াবা সুন্দরী হিসেবে পরিচিত মানিকগঞ্জে, ইয়াবার ব্যবসা করতে গিয়ে গতকাল ডিবি পুলিশের হাতে নাতে ধরা খান। তাকে এবং তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকা থেকে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে তাদের কে গ্রেপ্তার করা হয়।  ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার করা হয় গঙ্গাধরপট্টি এলাকার অরুনা বিশ্বাসের ভাড়া বাড়ি থেকে। তাদের এসময় ইয়াবা বিক্রির ২ লাখ ৩২ হাজার ৯০০ টাকা ও ৩২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। রুমি আক্তার টাঙ্গাইলের টেংরীপাড়া গ্রামের মুকুল কাজীর মেয়ে ও ব্ল্যাক রাজুর সাবেক স্ত্রী। ব্ল্যাক রাজু মানিকগঞ্জের আরেক কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী । অন্য দুই আসামি হলেন-মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গিলন্ড গ্রামের কাজিম মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা গ্রামের আতিকুর রহমান সুমন।

ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন এক সুন্দরী

By SHAMIM LEM →

আর মাত্র ৭ দিন পরেই রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে। ২৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে বিশ্বকাপে উঠেছে মিশর।  বিশ্বকাপে উঠেই ‘বুড়ো’ তকমাটা পেতে যাচ্ছেন মিশরের ফুটবলার এশেম আল হাদেরি। এবার যখন ইতিহাসের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে মিশর নামছে , এই হাদেরিই দলের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। মিশরের গোলকিপার এশেম আল হাদেরির  জন্ম ১৯৭৩ সালের ১৫ জানুয়ারি। এই বিশ্বকাপে যেদিন তিনি মাঠে নামবেন, সেদিন তার বয়স হবে ৪৫ বছর পাঁচ মাস।  তিনিই হবেন বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়। মজার ব্যাপার ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ‘বুড়ো’ ফুটবলার রাফায়েল মারকেজের সঙ্গেও হাদেরিই বয়সের পার্থক্য ছয় বছর! তা ছাড়া সেনেগাল কোচ আলিও সিসে, সার্বিয়া কোচ ম্লাদেন ক্রিস্টাইজ ও বেলজিয়াম দলের দায়িত্বে থাকা রবার্তো মার্টিনেজের চেয়েও বয়সে বড় এই হাদেরি। এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন কলম্বিয়ার ফারিড মনড্রাগনের। ব্রাজিল বিশ্বকাপে ৪৩ বছর বয়সে খেলেছিলেন তিনি।

ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় যিনি

By SHAMIM LEM →


তিনি বলেন দেশের গণতন্ত্র শেষ, বিচার বিভাগ শেষ, পার্লামেন্ট আগে থেকেই নেই।সরকার দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। শেয়ারবাজার, ব্যাংক লুট করেছে। দেশের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন করছিলেন বলেই তাকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে।তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তাকে মুক্ত করার জন্য যা করা প্রয়োজন আমাদেরকে তাই করতে হবে। খালেদা জিয়া জনগণের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বলে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকার যেভাবে খালেদা জিয়ার সাথে আচরণ করছে তা কোনোভাবে আশা করা যায় না। আমরা রাজনীতি করি। রাজনীতিতে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি। কিন্তু আমরা তো শত্রু নই। খালেদা জিয়াকে আপনারা ভয় পান বলেই এসব করছেন।কারণ তিনি জনগণের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারের এমন আচরণ খুবি দুঃখ জনক: নজরুল

By SHAMIM LEM →


পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আজ রবিবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে আহবায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হাসান এ রিট দায়ের করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে বিইআরসি, বিইআরসি-এর চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত বছরের ২৩ নভেম্বর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় বিইআরসি। প্রতি ইউনিট (এক কিলোওয়াট ঘণ্টা) বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

By SHAMIM LEM →

নিউজ ডেস্ক: সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুক ঘাঁটাঘাটি। শুধু সকাল নয়, দিনে কাজের ফাঁকে অসংখ্য বার আমরা ফেসবুকে ঢুঁ মারি। নিজের ভালোলাগা, দুঃখ, কষ্ট, প্রেম, ভয়, বিশ্বাস- এগুলো অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে না পারলে যেন আমরা কোনোমতেই শান্তি পাই না। বর্তমানে আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অঙ্গই হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ফেসবুক। তবে এটি সাময়িক শান্তি দিলেও এর থেকে দূরে থাকাই ভালো বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সম্প্রতি ‘জার্নাল অব সোশ্যাল সাইকোলজি’-তে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, অন্তত পাঁচ দিন ফেসবুক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারলে আপনার মানসিক চাপ কমে আসবে। সেই সঙ্গে কমবে উদ্বেগও। এ বিষয়ে মোট ১৩৮ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীকে নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরিক ভ্যানম্যানের নেতৃত্বে একটি দল এই গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষণায় তারা দেখেছেন, এই ১৩৮ জনের প্রত্যেকেই দিনে অন্তত আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা ফেসবুকে সময় কাটান। প্রথমে ওই ১৩৮ জনকে গবেষণাগারে আনা হয়। প্রত্যেককে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের মুখ থেকে লালার নমুনা নেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যেকেই জানিয়েছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের ছবি দেখে বা নিজের ছবি পোস্ট করে তারা বেশ স্ফুর্তিতেই থাকেন। কিন্তু এরিকের দাবি, পাঁচ দিন পরে সেই ছবিটা পাল্টে গেছে। প্রথমে অনেকেই ফেসবুক বন্ধ রাখতে রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু পাঁচ দিন ফেসবুক থেকে দূরে থাকার পর দেখা গেল, প্রত্যেকের দেহে করটিসলের মাত্রা কমে গেছে। এই করটিসল হল মানবদেহের এমন একটি হরমোন যা চাপ-উদ্বেগের মতো বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। তারা আরও বলেছেন, ফেসবুক ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও অনেক রকমের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তারা কি ওই পাঁচ দিন সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে সময় কাটিয়েছেন? নাকি সব সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম থেকেই এই ১৩৮ জনকে ওই পাঁচ দিন দূরে রাখা হয়েছিল? সমালোচকদের দাবি, এরকমই একাধিক বিষয়ে কোনো স্পষ্ট উল্লেখ নেই এই রিপোর্টে। এই রিপোর্ট নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। তবে অনেকেই বিতর্ক বিবাদে না গিয়ে এরিকের দাবির সঙ্গে একমত যে ফেসবুক থেকে দূরে থাকলে তা মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এই গবেষণার শেষে এরিক ভ্যানম্যান ও তার দল এই সিদ্ধান্তে আসেন, ফেসবুক বন্ধ রাখলে মানুষের মানসিক চাপ কমতে বাধ্য। যদিও এই গবেষণার বেশ কিছু ত্রুটি তুলে ধরেছেন সমালোচকরা। তারা বলছেন, যে পাঁচ দিন এই ১৩৮ জন ফেসবুক ব্যবহার করেননি, তারা সেই সময়গুলো কীভাবে কাটিয়েছেন, তা গবেষণার রিপোর্টে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

যদি ফেসবুক থেকে ৫ দিন দূরে থাকেন তাহলে কী হবে.?

By SHAMIM LEM →
২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে, অর্থাৎ, জানুয়ারি থেকে মার্চ এ তিন মাসের হিসাবে স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষস্থান দখল করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। এর আগে, ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকেও স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষে ছিল স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের বৈশ্বিক বাজারে ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে। এতে এ বছর স্মার্টফোনের বাজারে সামান্য উন্নয়ন লক্ষণীয়। বাজার গবেষণার বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর স্যামসাং বাজারের ২০ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার দখলে রেখেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে স্যামসাং বিশ্বে সাত কোটি ৮৫ লাখ ৬৪ হাজার ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করেছে।  গার্টনারের তথ্য অনুযায়ী, বাজার দখলের হিসাবে স্যামসাংয়ের পরই রয়েছে অ্যাপল। তবে চীনা ব্র্যান্ডগুলো সম্মিলিতভাবে বাজারের ৭০ ভাগ অংশ নিজেদের দখলে রেখেছে। গার্টনারের তালিকা অনুসারেস্যামসাংয়ের পরে স্মার্টফোনের বাজারে অবস্থান করছে—অ্যাপল, হুয়াওয়ে, শাওমি ও অপো।

২০১৮ সালের স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষে স্যামসাং

By SHAMIM LEM →
দেশের কোনো আদালতেই হাইকোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটি গঠন করা হয়নি। ফলে নারী বিচারক, আইনজীবী ও বিচার-সংশ্লিষ্ট অন্য নারীরা নিজে যখন যৌন হয়রানির শিকার হন, তখন তাঁর প্রতিকার পান না। যথাযথ কর্তৃপক্ষ না থাকায় যৌন হয়রানির শিকার বেশির ভাগ নারী বিষয়টি চেপে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং এ গবেষণার মুখ্য গবেষক তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, নারীদের পরিবারের সমর্থনের অভাব, পারিবারিক দায়িত্ব পালনের চাপ, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিচার-সংশ্লিষ্ট নারীরা উচ্চপর্যায়ে যাওয়ার আগেই ঝরে পড়ছেন। আর আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেও অনেক নারী অন্য পেশা বেছে নিচ্ছেন। মঙ্গলবার ‘বিচারব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহণ: প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে এক গবেষণার ফলাফল এবং আলোচকদের বক্তব্য থেকে এ চিত্র উঠে এসেছে। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) আয়োজিত এ সম্মেলনে প্রতিটি আইনজীবী সমিতিতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটি গঠনের দাবি তোলা হয়েছে। ব্লাস্টের ‘পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় গত বছরের ৩১ এপ্রিল থেকে মঙ্গলবার ২৯ মে পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা ও কুষ্টিয়ায় একটি গবেষণা করা হয়েছে। ব্লাস্টের সমতাভিত্তিক ফেলোশিপের আওতায় গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করেন আইনপড়ুয়া তিনজন শিক্ষার্থী। প্রতি জেলায় ৪০ জন করে বিচারক, আইনজীবী, আদালতে কর্মরত নারী স্টাফ, আইনজীবী সমিতির সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ গবেষণা করা হয়েছে। আজকের জাতীয় সম্মেলনে এ গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ঢাকার সানজিদা ইসলাম, কুষ্টিয়ার বনানী আফরিন এবং খুলনার সানজিদা তাজরী লিমা তিন জেলার চিত্র তুলে ধরেন। তিন জেলার ফলাফলে যে বিষয়গুলোতে মিল ছিল তা হলো যৌন হয়রানির প্রতিকার না পাওয়ার পরই আছে অবকাঠামোগত সমস্যা। নারী বিচারপতি, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট নারীদের জন্য পৃথক ওয়াশ রুম নেই। নেই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য ব্রেস্টফিডিং কর্নার। সন্তান রাখার জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র এবং নারীদের বসার জন্য কমন রুমও নেই। নারীবান্ধব কর্মপরিবেশের অভাব প্রকট। নারী বিচারক বা আইনজীবীরা পুরুষদের তুলনায় কম দক্ষ, এটা যেমন বিচার চাইতে আসা মানুষদের ধারণা, একইভাবে আইনসংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ পুরুষদের অনেকেরও প্রায় একই ধারণা। বিচার-সংশ্লিষ্ট নারীদের পদোন্নতি ভালো চোখে দেখেন না পুরুষ সহকর্মীরা। মুক্ত আলোচনায় শ্রম আদালতের একজন নারী আইনজীবী বলেন, এক জেলা জজ খাসকামরায় দেখা করতে বলেন। একবার দেখা করার পর বিষয়টি ভালো না লাগায় তিনি আর তাঁর ডাকে সাড়া দেননি। ফলে এই নারীর আপিল শুনানির চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা একটি মামলা ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন ওই জেলা জজ। কিন্তু বিষয়টি কাউকে তিনি বলতে পারেননি। জাতীয় সম্মেলনের প্রধান অতিথি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটি গঠনের দাবি জানান। বক্তব্যে তিনি ফিরে যান ৩০ বছর আগের ঘটনায়। তিনি জানান, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে তিনি একমাত্র নারী শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সবাই ছিল ছেলে। পরিবার থেকে বাধা এসেছে এ কাজে। তবে তিনি দমে যাননি। তিনিই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তির নিয়ম চালু করেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার জানালেন, তাঁদেরও টয়লেটের চাবি কবজা করতে দৌড়াতে হয়েছে। তিনি নারী হিসেবে প্রথম সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মতে, নিজেকে নারী বা পুরুষ না ভেবে মানুষ ভাবতে হবে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নিজেকে প্রমাণ করেই সামনে অগ্রসর হতে হবে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এইড অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস কমিটির চেয়ারম্যান ও নির্বাচিত সদস্য জেড আই খান পান্না আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি আইনজীবী সমিতিতে যাতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটি গঠন করা হয়, তার উদ্যোগ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সম্মেলনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ব্লাস্টের পরিচালক ও আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) গোলাম কিবরিয়া, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম, মানবাধিকার আইনজীবী ফস্টিনা পেরেরা, ব্লাস্টের সমন্বয়কারী সারাবান তাহুরা জামান প্রমুখ।

যৌন হয়রানির শিকার বিচার-সংশ্লিষ্ট নারীরাও প্রতিকার পান না’

By SHAMIM LEM →



স্বামীকে বশে আনতে কবিরাজের শরণাপন্ন হয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ওই কবিরাজ তাবিজ দেওয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর অভিযোগ, জিন ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেছে, এই ভয় দেখিয়েও তাঁর ওপর একাধিকবার যৌন নির্যাতন চালানো হয়। এসব অভিযোগে কবিরাজসহ দুজনকে আটক করেছে র‍্যাব। এই ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জে। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে জেলার একটি বাড়ি থেকে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-১২) সদস্যরা। আটক ব্যক্তিরা হলেন জাকারিয়া আনছারী (৪৫) ও আপেল মাহমুদ (২৯)। সদর থানায় একটি মামলা করেছেন ওই গৃহবধূ। মামলার বিবরণ ও র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ওই গৃহবধূ কবিরাজ জাকারিয়া আনছারী (৪৫) হুজুরের কাছে যান। স্বামীকে বশীভূত করতে চেয়েছিলেন তিনি। ওই কবিরাজ আগে একটি মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন। তাবিজ দেওয়ার কথা বলে ওই গৃহবধূকে স্থানীয় একটি মসজিদের পাশে যেতে বলেন জাকারিয়া। সেখান থেকে ওই গৃহবধূকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। কিন্তু সেই তাবিজে পারিবারিক কলহ দূর না হওয়ায় কবিরাজ বলেন, জিন ভিডিও ধারণ করেছে। এই ভয় দেখিয়ে জাকারিয়া জিন তাড়ানোর জন্য গৃহবধূকে নিয়ে যান বন্ধু মো. আপেল মাহমুদের (২৯) কাছে। সেখানে ওই গৃহবধূকে ফের ধর্ষণ করা হয় এবং মুঠোফোনে তার ভিডিও ধারণ করা হয়। এই ঘটনার সূত্র ধরে ভয় দেখিয়ে এবং হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বড় অঙ্কের টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ কার্যালয়ের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কবিরাজি চিকিৎসার নামে দীর্ঘদিন ধরে এই দুজন ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে হুমকি দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা র‌্যাবের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। ভিডিওসহ আসামি দুজনকে থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। র‍্যাব বলছে, পরে আরও টাকা দাবি করলে ওই গৃহবধূ বিষয়টি তাঁর বড় ভাইকে জানান। পরে তাঁর ভাই বাদী হয়ে ১৫ মে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি র‌্যাব সদস্যদের জানানো হলে র‌্যাব সদস্যরা গতকাল জাকারিয়া ও আপেল মাহমুদকে আটক করেন। একই সঙ্গে তাঁদের কাছে থাকা মুঠোফোনও জব্দ করা হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু দাউদ বলেন, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। র‌্যাবের কাছ থেকে পাওয়া দুই এজাহারভুক্ত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাবিজ দেওয়ার কথা বলে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগে আটক ২

By SHAMIM LEM →


সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যৌতুকের জন্য এ ধরনের অপরাধ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আজ মঙ্গলবার থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ মে সকালে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদসহ বাড়ির অন্যরা ঘর বন্ধ করে ইসরাতকে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে ইসরাতকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। ঘটনার চার দিন পর বাবার বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে ইসরাতকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে আজ গ্রামবাসীর সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে অসুস্থ অবস্থায় থানায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসী ও রায়গঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সরাই হাজিপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৮) প্রায় দুই বছর আগে বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাদুলি গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে ইসরাত জাহানকে (২২) বিয়ে করেন। বিয়েতে সামর্থ্য অনুযায়ী স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা দেয় ইসরাতের পরিবার। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আরও যৌতুকের দাবি করতে থাকেন জাহাঙ্গীর। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তিনি স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালাতেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকবার সালিসি হলেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানা যায়। রায়গঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ নিজে এসে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

যৌতুক না দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ

By SHAMIM LEM →
চা দোকানি মাকসুদা গত ৩০ মে দুপুরে তিনি দোকানে ছিলেন। এ সময় দারোগা হাসান মাসুদসহ চারজন গাড়িতে করে তাঁর দোকানে আসেন। মে মাসের চাঁদা বাবদ ছয় হাজার টাকা চান। আর ঈদ বকশিশ আরও চার হাজার টাকা দাবি করেন। তখন এই টাকা তিনি দিতে না চাইলে দোকান ভাঙচুর করেন তাঁরা। মামলায় মাকসুদা বলছেন, দোকান ভাঙচুর করার পাশাপাশি ক্যাশে থাকা তিন হাজার টাকাও নিয়ে গেছেন আসামিরা। এ সময় স্থানীয় যুবক বাবুলসহ অন্যরা এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের মিথ্যা, মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন আসামিরা। রাজধানীর ভাটারা এলাকার এক চা দোকানি নারী ভাটারা থানার একজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চারজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাটারা থানার এসআই হাসান মাসুদ ছাড়া ভাটারা থানার পুলিশ কনস্টেবল জাকির, অজ্ঞাত এক পুলিশ কনস্টেবল ও আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। চা দোকানি নারীর এ অভিযোগ তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনারকে (ডিবি উত্তর) নির্দেশ দেন আদালত। পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন, এমন কর্মকর্তাকে দিয়েই তদন্ত করাতে বলেছেন ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু। মাকসুদা জানান, দারোগা হাসানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে সেদিন থানায় অভিযোগ দিতে যান। কিন্তু তাঁকে থানায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। ১৩ বছর আগে মাকসুদার স্বামী মারা যান। এরপর এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকার ভাটারায় বসবাস করছেন তিনি। তাঁর মেয়ে লেখাপড়া করে। ভাটারার নতুন বাজার এলাকায় চা দোকান করে সংসার চালাচ্ছেন মাকসুদা। মাকসুদার আইনজীবী মাহবুব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মাকসুদার কাছে দারোগা হাসান যে চাঁদা চেয়েছেন, দোকান ভাঙচুর করে টাকা নিয়ে গেছেন, এর প্রমাণ আছে, সাক্ষীও আছে। মাকসুদা বললেন, দারোগা হাসানকে তিনি প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন। দোকান করলে হাসান দারোগা তাঁকে মিথ্যা মামলায় জেলে ঢোকানোর হুমকি দেন। মাকসুদার অভিযোগ প্রসঙ্গে ভাটারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, এসআই হাসানসহ অন্য কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তাঁদের কাছে কেউ আনেননি। এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তিনি জানেন না। মাকসুদার অভিযোগ প্রসঙ্গে এসআই হাসান মাসুদ দাবি করেন, ঘটনাস্থলে তিনি সেদিন গিয়েছিলেন। মাকসুদার সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। কারণ তিন দিন আগে ফুটপাত থেকে তাঁর দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তিনি তা না করায় দোকান সরাতে বলায় আদালতে গিয়ে মাকসুদা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। কোনো চাঁদা বা তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

চা দোকানির কাছে চাঁদা দাবি, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

By SHAMIM LEM →
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মধ্যেও কে কোথায় আছে, কে রাঘববোয়াল, কে চুনোপুঁটি—তা খোঁজা হচ্ছে। মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত, তা দেখা হচ্ছে। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের মধ্যে মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত, তা দেখা হচ্ছে।  কাদের বলেন, ‘বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটির কমিটির বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় দেখলাম। পত্রিকার রিপোর্টে আছে, এর মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী এ কমিটিতে আছে। তাই আপনারাই (বিএনপি) তো স্বীকার করলেন সদ্যঘোষিত কমিটিতে মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী আছে। আর কোথায় কোথায় আছে তা খোঁজা হচ্ছে।’ ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বন্ধু, আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তারা তদন্ত চাইতেই পারে। কিন্তু এখানে আমরা নিজেরাই তদন্ত করছি। শেখ হাসিনা সরকারই তদন্তের বিষয়ে যথেষ্ট। অন্য কারও মাথা ঘামানোর দরকার নেই।’ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কক্সবাজারের একরামের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। যা যা অভিযোগ আসছে, সেই বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারই তদন্তের বিষয়ে যথেষ্ট। অন্য কারও মাথা ঘামানোর দরকার নেই। শেখ হাসিনা অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন না, তিনি বারবার বলেছেন, এ অভিযানে যেন কোনো নিরীহ মানুষ শিকার না হন। নিরীহ মানুষ শিকার হলে দোষী ব্যক্তিরা রেহাই পাবে না। তাদেরও বিচার হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আটঘাট বেঁধে নেমেছি।’ ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী। এখন বিএনপি না এলে সময় স্রোত তো অপেক্ষা করবে না। সংবিধান ও গণতন্ত্র কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। ৫ জানুয়ারির ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে ভুলের মাশুল বিএনপিকেই দিতে হবে। এ সময় দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদে ফেলার খোয়াব দেখে লাভ নেই। বিএনপি না এলেও তারা ছাড়া বাকি সব নিবন্ধিত দলই আসবে। নিবন্ধিত দল তো ৩৭টি আছে। একটি গেলে আরও ৩৬টি থাকবে। কোনো অসুবিধা আছে?’ তিনি আরও বলেন, বিএনপি ছাড়া সব নিবন্ধিত দলই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই ৫ জানুয়ারির মতো আগামী নির্বাচনও বিএনপির জন্য থেমে থাকবে না। পরিবেশের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের পরিবেশ যে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, তা নিয়ে রাজনীতিবিদেরা কোনো কথা বলছেন না। তাঁরা দূষণ, ভেজাল, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেন না। সবাই তত্ত্বকথা বলেন। রাজনীতির নানা তত্ত্ব তাঁরা বলে বেড়াচ্ছেন—সরকার খারাপ, দেশ খারাপ। দেশ আজকে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে, পরমাণু ক্লাবে যুক্ত হয়েছে, এর কোনো সুনাম নেই। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। সেমিনারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজা খাতুন, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জামান।

বিএনপিতে কারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, ছাড় দেওয়া হবে না। দেখা হচ্ছে: কাদের

By SHAMIM LEM →