গানের কপিরাইট সংক্রান্ত নিয়ে আসিফ আকবরের সাথে শফিক তুহিন ও প্রীতমের সমস্যা হয়েছে। কিন্তু আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায়। আসিফের ভক্তরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন। কপিরাইট আইনে তো কখনো গ্রেপ্তার হয় না। তাহলে আমাদের প্রিয় শিল্পীকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো. ? আর মামলা কেন হলো? শফিক তুহিন ৫৭ ধারায় মামলা করলেন কেন? এমন সব প্রশ্নে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপার। ঘটনার সূত্রপাত চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে ঘিরে। চ্যানেলটির 'সার্চলাইট' নামের একটি অনুষ্ঠান রয়্যাল্টির টাকা কোথায় যায় এই নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে যেখানে দেখা যায় আসিফ আকবর ৬১৭টি গান গীতিকার-সুরকারসহ সবার পক্ষে সাক্ষর করে ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে বিক্রি করেছেন। এই ভিডিও শেয়ার করে বেশ ক'জন শিল্পী প্রতিবাদ জানান। যার মধ্যে শফিক তুহিনও একজন। এরপর আসিফ 'সার্চলাইট' এর প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দিতে এসে ফেসবুক লাইভে শফিক তুহিন প্রীতমসহ বেশ কজন সঙ্গীত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলেন। শফিক তুহিন  বলেন, এটা ছিল মানহানির মামলা। ৫৬(২) ধারার মামলা ছিল। যেটা পরে আইটি মামলা হিসেবে গৃহীত হয়। এই বক্তব্যকে উদ্ধৃতি করে শফিক তুহিন আসিফের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মানহানির মামলা করেন। শফিক তুহিনকে কী বলেছিলেন আসিফ?   আসিফ তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের লাইভে এসে বলেন, শফিক তুহিন হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে নোংরাতম কীট। এখন এদেরকে শায়েস্তা করতে হবে। শফিক তুহিনের ইতিহাসের শেষ নাই। শুধু বলবো- নষ্ট, নোংরা, সাইকো, অসভ্য একটা ছেলে। এদেরকে যেখানে পাবেন, ফেসবুকে হোক হোক আর ভার্চুয়াল মিডিয়া যেখানে পাবেন প্রতিহত করবেন। তাদেরকে প্রতিহত করবেন। শফিক তুহিনের ভাষ্য, এরপর থেকেই তাকে ক্রমাগত হত্যার হুমকি দিচ্ছিল অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। যার কারণে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। আসিফ বলেন, শফিক তুহিনের বড় ভাই তুফান। তাদের আব্বা দর্শনার কেরু কম্পানিতে কাজ করতেন। সেখানেই তারা বড় হয়েছেন। গীতিকার প্রদীপ সাহা অন্ধ হয়ে গেছেন শফিক তুহিনের কেনা কমদামি স্পিরিট খাওয়ার কারণে। শফিক তুহিনের পরামর্শেই তার এই অবস্থা হয়। ওরা প্রদীপ সাহার কাছ থেকেই খেত। ওরা নিজের টাকায় কোনওদিন মদ খেয়েছে কিনা আমি জানি না। আসিফ বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে জুতাপেটা করা হয়েছিল একটি মেয়ে কী পরিমাণ বাধ্য হলে এ কাজ করে। আসিফ ভিডিওতে বলেন , শফিক তুহিন ও প্রীতম আহমেদ আমার নামে প্রচারণা চালাচ্ছেন যে আমি নাকি তাদের ১০০ কোটি টাকা মেরে দিয়েছি। এরপরই তিনি বলেন, প্রীতমের অনেক তথ্যই জানি আমি, আমার কাছে প্রীতম কোথা থেকে মাদক কিনতো সেই খবরও আছে। সেসব পুরনো কথা টানতে চাই না। এছাড়াও সঙ্গীতশিল্পী প্রীতমেরও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেন আসিফ। শফিক তুহিন আসিফের বক্তব্যকে মানহানিকর উল্লেখ করে গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব কথা আসিফ বলেছে। আমি সেসব শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তার ভক্তদের উস্কে দেওয়া হয়েছে আমাকে প্রতিহত করার জন্য। ক্রমাগত আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বিভিন্নজন ফোন করে আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি সাধারণ নাগরিক হিসেবে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। তবে আসিফের এই গ্রেপ্তারকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন ভক্তরা। গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বেশ ক'জন সঙ্গীতশিল্পী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে তাঁরা আসিফের দ্রুত মুক্তি কামনা করেছেন। এদিকে সঙ্গীত পরিচালক শওকত আলি ইমন বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, একইসাথে এইসময়ে  জেষ্ঠশিল্পীদের পাশে চেয়েছেন।
SHAMIN REZA

I'm Jillur Rahman. A full time web designer. I enjoy to make modern template. I love create blogger template and write about web design, blogger. Now I'm working with Themeforest. You can buy our templates from Themeforest.

No Comment to " ৫৭ ধারায় কেন আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল? "