চা দোকানি মাকসুদা গত ৩০ মে দুপুরে তিনি দোকানে ছিলেন। এ সময় দারোগা হাসান মাসুদসহ চারজন গাড়িতে করে তাঁর দোকানে আসেন। মে মাসের চাঁদা বাবদ ছয় হাজার টাকা চান। আর ঈদ বকশিশ আরও চার হাজার টাকা দাবি করেন। তখন এই টাকা তিনি দিতে না চাইলে দোকান ভাঙচুর করেন তাঁরা। মামলায় মাকসুদা বলছেন, দোকান ভাঙচুর করার পাশাপাশি ক্যাশে থাকা তিন হাজার টাকাও নিয়ে গেছেন আসামিরা। এ সময় স্থানীয় যুবক বাবুলসহ অন্যরা এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের মিথ্যা, মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন আসামিরা। রাজধানীর ভাটারা এলাকার এক চা দোকানি নারী ভাটারা থানার একজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চারজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাটারা থানার এসআই হাসান মাসুদ ছাড়া ভাটারা থানার পুলিশ কনস্টেবল জাকির, অজ্ঞাত এক পুলিশ কনস্টেবল ও আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। চা দোকানি নারীর এ অভিযোগ তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনারকে (ডিবি উত্তর) নির্দেশ দেন আদালত। পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন, এমন কর্মকর্তাকে দিয়েই তদন্ত করাতে বলেছেন ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু। মাকসুদা জানান, দারোগা হাসানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে সেদিন থানায় অভিযোগ দিতে যান। কিন্তু তাঁকে থানায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। ১৩ বছর আগে মাকসুদার স্বামী মারা যান। এরপর এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকার ভাটারায় বসবাস করছেন তিনি। তাঁর মেয়ে লেখাপড়া করে। ভাটারার নতুন বাজার এলাকায় চা দোকান করে সংসার চালাচ্ছেন মাকসুদা। মাকসুদার আইনজীবী মাহবুব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মাকসুদার কাছে দারোগা হাসান যে চাঁদা চেয়েছেন, দোকান ভাঙচুর করে টাকা নিয়ে গেছেন, এর প্রমাণ আছে, সাক্ষীও আছে। মাকসুদা বললেন, দারোগা হাসানকে তিনি প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন। দোকান করলে হাসান দারোগা তাঁকে মিথ্যা মামলায় জেলে ঢোকানোর হুমকি দেন। মাকসুদার অভিযোগ প্রসঙ্গে ভাটারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, এসআই হাসানসহ অন্য কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তাঁদের কাছে কেউ আনেননি। এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তিনি জানেন না। মাকসুদার অভিযোগ প্রসঙ্গে এসআই হাসান মাসুদ দাবি করেন, ঘটনাস্থলে তিনি সেদিন গিয়েছিলেন। মাকসুদার সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। কারণ তিন দিন আগে ফুটপাত থেকে তাঁর দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তিনি তা না করায় দোকান সরাতে বলায় আদালতে গিয়ে মাকসুদা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। কোনো চাঁদা বা তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No Comment to " চা দোকানির কাছে চাঁদা দাবি, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা "