নিহতের স্বামী রেজাউল হক জানান, শুক্রবার আমার স্ত্রী মলেকা বেগম আমার ছেলের বউ আখি বেগমের কাছে খাবার চায়। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক্ষন যাবত কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেত ধরে মধ্যরাতে আবারও ঝগড়াঝাটি এবং কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী মলেকা বেগমকে ব্যাপক ভাবে লাথি উস্টা চর থাপ্পর দিয়ে মারধোর শুরু করে পুত্রবধু আখি বেগম। নির্যাতনের মুখে আমার স্ত্রী মারা গেলে তাকে আখি বেগম রশি দিয়ে আমগাছে ঝুলিয়ে রাখে। বিষয়টি আমি পুলিশকে জানাই। পুলিশ শনিবার সকালে এসে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের দেবর আনোয়ার হোসেন জানান, রাত ১টার দিকে ভাতিজা মাসুম মিয়া আমার বাড়িতে এসে বলে চাচা মা তো মারা গেছে। এসময় সে একটি লাঠি নিয়ে তার স্ত্রীকে মারার জন্য খুঁজতে থাকে। আমরা গিয়ে দেখি লাশ আমগাছে ঝোলানো। নিহতের পুত্র মাসুম মিয়া জানান, আমি আমার মায়ের জন্য কোনো কিছু আনলে আমার স্ত্রী সেটা কোনোভাবেই সহ্য করত না। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে খুব ঝগড়া হতো কথা এবং কথা কাটাকাটি হতো। আমি মাকে কিছু দিতে গেলেই সে গালিগালাজ করত, ঝগড়া করত। আমার শাশুরি বলতো মায়রে নিয়া খাও আবার বিয়া করছো কেন.? লাশ উদ্ধারকারী কোতয়ালী থানার এসআই মনোয়ার হোসেন জানান, লাশের শরীরের বিভিন্নস্থানে ৬টি মারাত্মক জখমের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারনা নির্যাতন করে মেরে ফেলার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহদের স্বামীর কথা একটি ইউডি মামলার সূত্র ধরে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা না হত্যা তা তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না।
Labels:
আন্তর্জাতিক
,
খেলার খবর
,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
,
শিক্ষা
,
সমগ্র
,
সারা দেশ
,
সারাদেশ
No Comment to " খাবার চাওয়ায় শাশুড়িকে মেরে তার লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখল পুত্রবধূ "