Browsing "Older Posts"



তিনি বলেন দেশের গণতন্ত্র শেষ, বিচার বিভাগ শেষ, পার্লামেন্ট আগে থেকেই নেই।সরকার দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। শেয়ারবাজার, ব্যাংক লুট করেছে। দেশের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন করছিলেন বলেই তাকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে।তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তাকে মুক্ত করার জন্য যা করা প্রয়োজন আমাদেরকে তাই করতে হবে। খালেদা জিয়া জনগণের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বলে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকার যেভাবে খালেদা জিয়ার সাথে আচরণ করছে তা কোনোভাবে আশা করা যায় না। আমরা রাজনীতি করি। রাজনীতিতে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি। কিন্তু আমরা তো শত্রু নই। খালেদা জিয়াকে আপনারা ভয় পান বলেই এসব করছেন।কারণ তিনি জনগণের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারের এমন আচরণ খুবি দুঃখ জনক: নজরুল

By SHAMIM LEM →


পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আজ রবিবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে আহবায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হাসান এ রিট দায়ের করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে বিইআরসি, বিইআরসি-এর চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত বছরের ২৩ নভেম্বর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় বিইআরসি। প্রতি ইউনিট (এক কিলোওয়াট ঘণ্টা) বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

By SHAMIM LEM →

নিউজ ডেস্ক: সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুক ঘাঁটাঘাটি। শুধু সকাল নয়, দিনে কাজের ফাঁকে অসংখ্য বার আমরা ফেসবুকে ঢুঁ মারি। নিজের ভালোলাগা, দুঃখ, কষ্ট, প্রেম, ভয়, বিশ্বাস- এগুলো অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে না পারলে যেন আমরা কোনোমতেই শান্তি পাই না। বর্তমানে আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অঙ্গই হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ফেসবুক। তবে এটি সাময়িক শান্তি দিলেও এর থেকে দূরে থাকাই ভালো বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সম্প্রতি ‘জার্নাল অব সোশ্যাল সাইকোলজি’-তে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, অন্তত পাঁচ দিন ফেসবুক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারলে আপনার মানসিক চাপ কমে আসবে। সেই সঙ্গে কমবে উদ্বেগও। এ বিষয়ে মোট ১৩৮ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীকে নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরিক ভ্যানম্যানের নেতৃত্বে একটি দল এই গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষণায় তারা দেখেছেন, এই ১৩৮ জনের প্রত্যেকেই দিনে অন্তত আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা ফেসবুকে সময় কাটান। প্রথমে ওই ১৩৮ জনকে গবেষণাগারে আনা হয়। প্রত্যেককে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকের মুখ থেকে লালার নমুনা নেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যেকেই জানিয়েছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের ছবি দেখে বা নিজের ছবি পোস্ট করে তারা বেশ স্ফুর্তিতেই থাকেন। কিন্তু এরিকের দাবি, পাঁচ দিন পরে সেই ছবিটা পাল্টে গেছে। প্রথমে অনেকেই ফেসবুক বন্ধ রাখতে রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু পাঁচ দিন ফেসবুক থেকে দূরে থাকার পর দেখা গেল, প্রত্যেকের দেহে করটিসলের মাত্রা কমে গেছে। এই করটিসল হল মানবদেহের এমন একটি হরমোন যা চাপ-উদ্বেগের মতো বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। তারা আরও বলেছেন, ফেসবুক ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও অনেক রকমের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তারা কি ওই পাঁচ দিন সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে সময় কাটিয়েছেন? নাকি সব সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম থেকেই এই ১৩৮ জনকে ওই পাঁচ দিন দূরে রাখা হয়েছিল? সমালোচকদের দাবি, এরকমই একাধিক বিষয়ে কোনো স্পষ্ট উল্লেখ নেই এই রিপোর্টে। এই রিপোর্ট নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। তবে অনেকেই বিতর্ক বিবাদে না গিয়ে এরিকের দাবির সঙ্গে একমত যে ফেসবুক থেকে দূরে থাকলে তা মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এই গবেষণার শেষে এরিক ভ্যানম্যান ও তার দল এই সিদ্ধান্তে আসেন, ফেসবুক বন্ধ রাখলে মানুষের মানসিক চাপ কমতে বাধ্য। যদিও এই গবেষণার বেশ কিছু ত্রুটি তুলে ধরেছেন সমালোচকরা। তারা বলছেন, যে পাঁচ দিন এই ১৩৮ জন ফেসবুক ব্যবহার করেননি, তারা সেই সময়গুলো কীভাবে কাটিয়েছেন, তা গবেষণার রিপোর্টে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

যদি ফেসবুক থেকে ৫ দিন দূরে থাকেন তাহলে কী হবে.?

By SHAMIM LEM →
২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে, অর্থাৎ, জানুয়ারি থেকে মার্চ এ তিন মাসের হিসাবে স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষস্থান দখল করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। এর আগে, ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকেও স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষে ছিল স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের বৈশ্বিক বাজারে ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে। এতে এ বছর স্মার্টফোনের বাজারে সামান্য উন্নয়ন লক্ষণীয়। বাজার গবেষণার বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর স্যামসাং বাজারের ২০ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার দখলে রেখেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে স্যামসাং বিশ্বে সাত কোটি ৮৫ লাখ ৬৪ হাজার ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করেছে।  গার্টনারের তথ্য অনুযায়ী, বাজার দখলের হিসাবে স্যামসাংয়ের পরই রয়েছে অ্যাপল। তবে চীনা ব্র্যান্ডগুলো সম্মিলিতভাবে বাজারের ৭০ ভাগ অংশ নিজেদের দখলে রেখেছে। গার্টনারের তালিকা অনুসারেস্যামসাংয়ের পরে স্মার্টফোনের বাজারে অবস্থান করছে—অ্যাপল, হুয়াওয়ে, শাওমি ও অপো।

২০১৮ সালের স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষে স্যামসাং

By SHAMIM LEM →
দেশের কোনো আদালতেই হাইকোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটি গঠন করা হয়নি। ফলে নারী বিচারক, আইনজীবী ও বিচার-সংশ্লিষ্ট অন্য নারীরা নিজে যখন যৌন হয়রানির শিকার হন, তখন তাঁর প্রতিকার পান না। যথাযথ কর্তৃপক্ষ না থাকায় যৌন হয়রানির শিকার বেশির ভাগ নারী বিষয়টি চেপে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং এ গবেষণার মুখ্য গবেষক তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, নারীদের পরিবারের সমর্থনের অভাব, পারিবারিক দায়িত্ব পালনের চাপ, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিচার-সংশ্লিষ্ট নারীরা উচ্চপর্যায়ে যাওয়ার আগেই ঝরে পড়ছেন। আর আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেও অনেক নারী অন্য পেশা বেছে নিচ্ছেন। মঙ্গলবার ‘বিচারব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহণ: প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে এক গবেষণার ফলাফল এবং আলোচকদের বক্তব্য থেকে এ চিত্র উঠে এসেছে। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) আয়োজিত এ সম্মেলনে প্রতিটি আইনজীবী সমিতিতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটি গঠনের দাবি তোলা হয়েছে। ব্লাস্টের ‘পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় গত বছরের ৩১ এপ্রিল থেকে মঙ্গলবার ২৯ মে পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা ও কুষ্টিয়ায় একটি গবেষণা করা হয়েছে। ব্লাস্টের সমতাভিত্তিক ফেলোশিপের আওতায় গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করেন আইনপড়ুয়া তিনজন শিক্ষার্থী। প্রতি জেলায় ৪০ জন করে বিচারক, আইনজীবী, আদালতে কর্মরত নারী স্টাফ, আইনজীবী সমিতির সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ গবেষণা করা হয়েছে। আজকের জাতীয় সম্মেলনে এ গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ঢাকার সানজিদা ইসলাম, কুষ্টিয়ার বনানী আফরিন এবং খুলনার সানজিদা তাজরী লিমা তিন জেলার চিত্র তুলে ধরেন। তিন জেলার ফলাফলে যে বিষয়গুলোতে মিল ছিল তা হলো যৌন হয়রানির প্রতিকার না পাওয়ার পরই আছে অবকাঠামোগত সমস্যা। নারী বিচারপতি, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট নারীদের জন্য পৃথক ওয়াশ রুম নেই। নেই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য ব্রেস্টফিডিং কর্নার। সন্তান রাখার জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র এবং নারীদের বসার জন্য কমন রুমও নেই। নারীবান্ধব কর্মপরিবেশের অভাব প্রকট। নারী বিচারক বা আইনজীবীরা পুরুষদের তুলনায় কম দক্ষ, এটা যেমন বিচার চাইতে আসা মানুষদের ধারণা, একইভাবে আইনসংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ পুরুষদের অনেকেরও প্রায় একই ধারণা। বিচার-সংশ্লিষ্ট নারীদের পদোন্নতি ভালো চোখে দেখেন না পুরুষ সহকর্মীরা। মুক্ত আলোচনায় শ্রম আদালতের একজন নারী আইনজীবী বলেন, এক জেলা জজ খাসকামরায় দেখা করতে বলেন। একবার দেখা করার পর বিষয়টি ভালো না লাগায় তিনি আর তাঁর ডাকে সাড়া দেননি। ফলে এই নারীর আপিল শুনানির চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা একটি মামলা ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন ওই জেলা জজ। কিন্তু বিষয়টি কাউকে তিনি বলতে পারেননি। জাতীয় সম্মেলনের প্রধান অতিথি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটি গঠনের দাবি জানান। বক্তব্যে তিনি ফিরে যান ৩০ বছর আগের ঘটনায়। তিনি জানান, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে তিনি একমাত্র নারী শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সবাই ছিল ছেলে। পরিবার থেকে বাধা এসেছে এ কাজে। তবে তিনি দমে যাননি। তিনিই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তির নিয়ম চালু করেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার জানালেন, তাঁদেরও টয়লেটের চাবি কবজা করতে দৌড়াতে হয়েছে। তিনি নারী হিসেবে প্রথম সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মতে, নিজেকে নারী বা পুরুষ না ভেবে মানুষ ভাবতে হবে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নিজেকে প্রমাণ করেই সামনে অগ্রসর হতে হবে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এইড অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস কমিটির চেয়ারম্যান ও নির্বাচিত সদস্য জেড আই খান পান্না আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিটি আইনজীবী সমিতিতে যাতে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ কমিটি গঠন করা হয়, তার উদ্যোগ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সম্মেলনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ব্লাস্টের পরিচালক ও আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) গোলাম কিবরিয়া, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম, মানবাধিকার আইনজীবী ফস্টিনা পেরেরা, ব্লাস্টের সমন্বয়কারী সারাবান তাহুরা জামান প্রমুখ।

যৌন হয়রানির শিকার বিচার-সংশ্লিষ্ট নারীরাও প্রতিকার পান না’

By SHAMIM LEM →



স্বামীকে বশে আনতে কবিরাজের শরণাপন্ন হয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ওই কবিরাজ তাবিজ দেওয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর অভিযোগ, জিন ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেছে, এই ভয় দেখিয়েও তাঁর ওপর একাধিকবার যৌন নির্যাতন চালানো হয়। এসব অভিযোগে কবিরাজসহ দুজনকে আটক করেছে র‍্যাব। এই ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জে। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে জেলার একটি বাড়ি থেকে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-১২) সদস্যরা। আটক ব্যক্তিরা হলেন জাকারিয়া আনছারী (৪৫) ও আপেল মাহমুদ (২৯)। সদর থানায় একটি মামলা করেছেন ওই গৃহবধূ। মামলার বিবরণ ও র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ওই গৃহবধূ কবিরাজ জাকারিয়া আনছারী (৪৫) হুজুরের কাছে যান। স্বামীকে বশীভূত করতে চেয়েছিলেন তিনি। ওই কবিরাজ আগে একটি মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন। তাবিজ দেওয়ার কথা বলে ওই গৃহবধূকে স্থানীয় একটি মসজিদের পাশে যেতে বলেন জাকারিয়া। সেখান থেকে ওই গৃহবধূকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। কিন্তু সেই তাবিজে পারিবারিক কলহ দূর না হওয়ায় কবিরাজ বলেন, জিন ভিডিও ধারণ করেছে। এই ভয় দেখিয়ে জাকারিয়া জিন তাড়ানোর জন্য গৃহবধূকে নিয়ে যান বন্ধু মো. আপেল মাহমুদের (২৯) কাছে। সেখানে ওই গৃহবধূকে ফের ধর্ষণ করা হয় এবং মুঠোফোনে তার ভিডিও ধারণ করা হয়। এই ঘটনার সূত্র ধরে ভয় দেখিয়ে এবং হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বড় অঙ্কের টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ কার্যালয়ের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কবিরাজি চিকিৎসার নামে দীর্ঘদিন ধরে এই দুজন ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে হুমকি দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা র‌্যাবের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। ভিডিওসহ আসামি দুজনকে থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। র‍্যাব বলছে, পরে আরও টাকা দাবি করলে ওই গৃহবধূ বিষয়টি তাঁর বড় ভাইকে জানান। পরে তাঁর ভাই বাদী হয়ে ১৫ মে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি র‌্যাব সদস্যদের জানানো হলে র‌্যাব সদস্যরা গতকাল জাকারিয়া ও আপেল মাহমুদকে আটক করেন। একই সঙ্গে তাঁদের কাছে থাকা মুঠোফোনও জব্দ করা হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু দাউদ বলেন, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। র‌্যাবের কাছ থেকে পাওয়া দুই এজাহারভুক্ত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাবিজ দেওয়ার কথা বলে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগে আটক ২

By SHAMIM LEM →


সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি যৌতুকের জন্য এ ধরনের অপরাধ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আজ মঙ্গলবার থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ মে সকালে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদসহ বাড়ির অন্যরা ঘর বন্ধ করে ইসরাতকে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে ইসরাতকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। ঘটনার চার দিন পর বাবার বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে ইসরাতকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে আজ গ্রামবাসীর সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে অসুস্থ অবস্থায় থানায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসী ও রায়গঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সরাই হাজিপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৮) প্রায় দুই বছর আগে বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাদুলি গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে ইসরাত জাহানকে (২২) বিয়ে করেন। বিয়েতে সামর্থ্য অনুযায়ী স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা দেয় ইসরাতের পরিবার। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আরও যৌতুকের দাবি করতে থাকেন জাহাঙ্গীর। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তিনি স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালাতেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকবার সালিসি হলেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানা যায়। রায়গঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ নিজে এসে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

যৌতুক না দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ

By SHAMIM LEM →
চা দোকানি মাকসুদা গত ৩০ মে দুপুরে তিনি দোকানে ছিলেন। এ সময় দারোগা হাসান মাসুদসহ চারজন গাড়িতে করে তাঁর দোকানে আসেন। মে মাসের চাঁদা বাবদ ছয় হাজার টাকা চান। আর ঈদ বকশিশ আরও চার হাজার টাকা দাবি করেন। তখন এই টাকা তিনি দিতে না চাইলে দোকান ভাঙচুর করেন তাঁরা। মামলায় মাকসুদা বলছেন, দোকান ভাঙচুর করার পাশাপাশি ক্যাশে থাকা তিন হাজার টাকাও নিয়ে গেছেন আসামিরা। এ সময় স্থানীয় যুবক বাবুলসহ অন্যরা এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের মিথ্যা, মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন আসামিরা। রাজধানীর ভাটারা এলাকার এক চা দোকানি নারী ভাটারা থানার একজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চারজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাটারা থানার এসআই হাসান মাসুদ ছাড়া ভাটারা থানার পুলিশ কনস্টেবল জাকির, অজ্ঞাত এক পুলিশ কনস্টেবল ও আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। চা দোকানি নারীর এ অভিযোগ তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনারকে (ডিবি উত্তর) নির্দেশ দেন আদালত। পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন, এমন কর্মকর্তাকে দিয়েই তদন্ত করাতে বলেছেন ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু। মাকসুদা জানান, দারোগা হাসানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে সেদিন থানায় অভিযোগ দিতে যান। কিন্তু তাঁকে থানায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। ১৩ বছর আগে মাকসুদার স্বামী মারা যান। এরপর এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকার ভাটারায় বসবাস করছেন তিনি। তাঁর মেয়ে লেখাপড়া করে। ভাটারার নতুন বাজার এলাকায় চা দোকান করে সংসার চালাচ্ছেন মাকসুদা। মাকসুদার আইনজীবী মাহবুব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মাকসুদার কাছে দারোগা হাসান যে চাঁদা চেয়েছেন, দোকান ভাঙচুর করে টাকা নিয়ে গেছেন, এর প্রমাণ আছে, সাক্ষীও আছে। মাকসুদা বললেন, দারোগা হাসানকে তিনি প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন। দোকান করলে হাসান দারোগা তাঁকে মিথ্যা মামলায় জেলে ঢোকানোর হুমকি দেন। মাকসুদার অভিযোগ প্রসঙ্গে ভাটারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, এসআই হাসানসহ অন্য কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তাঁদের কাছে কেউ আনেননি। এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তিনি জানেন না। মাকসুদার অভিযোগ প্রসঙ্গে এসআই হাসান মাসুদ দাবি করেন, ঘটনাস্থলে তিনি সেদিন গিয়েছিলেন। মাকসুদার সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। কারণ তিন দিন আগে ফুটপাত থেকে তাঁর দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তিনি তা না করায় দোকান সরাতে বলায় আদালতে গিয়ে মাকসুদা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। কোনো চাঁদা বা তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

চা দোকানির কাছে চাঁদা দাবি, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

By SHAMIM LEM →
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মধ্যেও কে কোথায় আছে, কে রাঘববোয়াল, কে চুনোপুঁটি—তা খোঁজা হচ্ছে। মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত, তা দেখা হচ্ছে। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের মধ্যে মাদক ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত, তা দেখা হচ্ছে।  কাদের বলেন, ‘বিএনপির ঢাকা উত্তর সিটির কমিটির বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় দেখলাম। পত্রিকার রিপোর্টে আছে, এর মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী এ কমিটিতে আছে। তাই আপনারাই (বিএনপি) তো স্বীকার করলেন সদ্যঘোষিত কমিটিতে মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী আছে। আর কোথায় কোথায় আছে তা খোঁজা হচ্ছে।’ ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের বন্ধু, আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তারা তদন্ত চাইতেই পারে। কিন্তু এখানে আমরা নিজেরাই তদন্ত করছি। শেখ হাসিনা সরকারই তদন্তের বিষয়ে যথেষ্ট। অন্য কারও মাথা ঘামানোর দরকার নেই।’ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কক্সবাজারের একরামের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। যা যা অভিযোগ আসছে, সেই বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারই তদন্তের বিষয়ে যথেষ্ট। অন্য কারও মাথা ঘামানোর দরকার নেই। শেখ হাসিনা অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন না, তিনি বারবার বলেছেন, এ অভিযানে যেন কোনো নিরীহ মানুষ শিকার না হন। নিরীহ মানুষ শিকার হলে দোষী ব্যক্তিরা রেহাই পাবে না। তাদেরও বিচার হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আটঘাট বেঁধে নেমেছি।’ ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী। এখন বিএনপি না এলে সময় স্রোত তো অপেক্ষা করবে না। সংবিধান ও গণতন্ত্র কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। ৫ জানুয়ারির ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে ভুলের মাশুল বিএনপিকেই দিতে হবে। এ সময় দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদে ফেলার খোয়াব দেখে লাভ নেই। বিএনপি না এলেও তারা ছাড়া বাকি সব নিবন্ধিত দলই আসবে। নিবন্ধিত দল তো ৩৭টি আছে। একটি গেলে আরও ৩৬টি থাকবে। কোনো অসুবিধা আছে?’ তিনি আরও বলেন, বিএনপি ছাড়া সব নিবন্ধিত দলই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই ৫ জানুয়ারির মতো আগামী নির্বাচনও বিএনপির জন্য থেমে থাকবে না। পরিবেশের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের পরিবেশ যে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, তা নিয়ে রাজনীতিবিদেরা কোনো কথা বলছেন না। তাঁরা দূষণ, ভেজাল, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেন না। সবাই তত্ত্বকথা বলেন। রাজনীতির নানা তত্ত্ব তাঁরা বলে বেড়াচ্ছেন—সরকার খারাপ, দেশ খারাপ। দেশ আজকে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে, পরমাণু ক্লাবে যুক্ত হয়েছে, এর কোনো সুনাম নেই। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। সেমিনারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজা খাতুন, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জামান।

বিএনপিতে কারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, ছাড় দেওয়া হবে না। দেখা হচ্ছে: কাদের

By SHAMIM LEM →

বালিঘর’ ছবির নতুন শুটিং পরিকল্পনায় কোনোভাবে শিডিউল মেলাতে পারছেন না তিশা। তাই তো অরিন্দম শীলের এই ছবি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। পরিচালক জানান, তিশার মতো ভালো অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজ করতে না-পারাটা তাঁর জন্য দুর্ভাগ্য। কিন্তু তা ভেবে বসে থাকলে তো আর চলবে না, শুটিং করতেই হবে। বিকল্প কাকে দিয়ে ‘বালিঘর’ ছবির শুটিং করা যায়, অবশেষে তা চূড়ান্ত করেছেন। জানা গেছে, ‘বালিঘর’ পরিবারের নতুন এই সদস্য অভিনয়শিল্পী জাকিয়া বারী মম। গতকাল সোমবার দুপুরে কলকাতা থেকে অরিন্দম শীল আমাদের বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে মমর মৌখিক কথা হয়েছে। সে কাজটি করতে রাজি হয়েছে। শুটিং শুরু করার আগে কোনো সময়ে তাঁর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির কাজ সেরে ফেলব।’ মমকেও খুব ভালো একজন অভিনয়শিল্পী মনে করেন অরিন্দম শীল। তাই তিশার কাছ থেকে ‘না’ শোনার পর পরিচালক এমন একজনকে খুঁজছিলেন, যে তাঁর ছবির জন্য উপযুক্ত। একপর্যায়ে এসে পরিচালকের মনে হয়েছে, মম হতে পারেন সেই অভিনয়শিল্পী। তাই মমর সঙ্গে প্রাথমিক সব আলোচনা সেরে নিয়েছেন তিনি। অরিন্দম শীল বলেন, ‘মমর কিছু কাজ দেখেছি। অভিনয়শিল্পী হিসেবে তাঁকে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাঁর সঙ্গে কাজটি করব। আশা করছি, মম অনেক ভালো করবেন।’ সম্প্রতি বাঁধন আর পূর্ণিমার ছেড়ে দেওয়া ‘দহন’ ছবিতেও অভিনয়ের জন্য মমর সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। তবে প্রযোজক আব্দুল আজিজ আর নায়িকা মমর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ঈদের পর ‘দহন’ ছবির শুটিং শুরু হবে। তখনই মমর নাম ঘোষণা করা হবে। এ বছর ২০ জানুয়ারি ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘বালিঘর’ ছবির মহরত করা হয়। যৌথ প্রযোজনার এই ছবির বাংলাদেশ অংশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ক্রিয়েশনস আর ভারতের নাথিং বিয়ন্ড সিনেমা। ছবির অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ, মম, নওশাবা আর ভারত থেকে আবির চট্টোপাধ্যায়, পার্ণো মিত্র, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রমুখ। গত মার্চ মাসে ছবিটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী তা হতে যাচ্ছে এ বছর সেপ্টেম্বরে। ‘বালিঘর’ ছবির শুটিং শুরু হবে বাংলাদেশের কক্সবাজারে। এই ছবির সংগীত পরিচালনা করছেন বাংলাদেশের চিরকুট আর ভারতের বিক্রম ঘোষ। ‘বালিঘর’ ছবিটি ছেড়ে দেওয়ার কারণ জানিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে গতকাল দুপুরে একটি পোস্ট লেখেন তিশা। সেখানে তিশা লিখেছেন, ‘আমার ভক্ত এবং দর্শক ভাইবোনদের উদ্দেশে একটি তথ্য জানিয়ে রাখতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ভুল-বোঝাবুঝি আর গুজব তৈরির সুযোগ না থাকে। কলকাতার বিশিষ্ট পরিচালক অরিন্দম শীলের “বালিঘর” ছবিটি আমি আর করছি না। শিডিউলের জটিলতার কারণে আমি সেই ছবি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। আমরা সকল প্রকার সৌজন্য বজায় রেখেই একমত হয়েছি। আমি ছবিটার জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’ এরপর প্রথম আলোকে তিশা বলেন, ‘ওই সময় দেশের বাইরে আমার শো আছে। কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য দেওয়া আছে। এ ছাড়া দেশের বাইরে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। সবকিছু এমনভাবে শিডিউল করা যে নতুনভাবে শিডিউল করা মোটেও সম্ভব নয়।’

'বালিঘর’ ছবিতে তিশার পরিবর্তে মম

By SHAMIM LEM →


বাংলাদেশের চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস এবার ভারতের বাংলা ছবিতে অভিনয় করবেন। ছবির নাম ‘শর্টকাট’। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে খবরটি। এরই মধ্যে ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী গল্প লেখেন। তাঁর লেখা গল্প নিয়ে বই বেরিয়েছে। এবার তাঁর গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে। গল্পের নাম ‘শর্টকাট’। ছবিটি পরিচালনা করছেন সুবীর মণ্ডল। তিনি দূরদর্শনের সঙ্গে জড়িত আছেন দীর্ঘদিন। এর আগে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র পরিচালনা করেছেন। এবারই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি করছেন। ছবিটিতে অভিনয় করবেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, গৌরব চক্রবর্তী, অনিন্দিতা বসু, চন্দন সেন আর বাংলাদেশের অপু বিশ্বাস ও অরিন। ‘শর্টকাট’ ছবি তৈরি করছে কলকাতার তৃণা ফিল্ম। ছবির গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করছেন নচিকেতা। নিজের লেখা গল্প নিয়ে ছবি তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে দারুণ খুশি নচিকেতা। বললেন, ‘সিনেমায় যে যে উপাদান থাকা প্রয়োজন, তার সবই আছে এই গল্পে। ছোট গল্প। সুবীরকে দিয়ে বললাম নিজের মতো করে গড়ে-পিটে নিতে। সুবীর কত ভালো ছবি বানাবে, আমি জানি না। ও মানুষটা খুব ভালো। তাই গল্পটা ওকেই দিলাম।’ এই সময়ের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে দুটো আলাদা আর্থসামাজিক অবস্থার দুই যুবকের গল্প ‘শর্টকাট’। বিত্তবান পরিবারের একটি ছেলে আর ঠিক পাশের বস্তিতে থাকা আরেকটি ছেলে। আপাতদৃষ্টিতে দুজনের অবস্থান আলাদা হলেও তাদের দুজনের জীবনেই ব্যর্থতার গ্লানি রয়েছে। কোথাও গিয়ে তারা মিলে যায়। তারা পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারে কি না, তাই নিয়ে ছবির গল্প। সুবীর মণ্ডল বললেন, ‘আমাদের সবার মধ্যেই একটা শর্টকাট নেওয়ার প্রবণতা আছে। পরিণতিতে কেউ সফল হয়, কেউ ব্যর্থ হয়। আমাদের ছবি তেমনি একটি গল্প নিয়ে।’ আর নচিকেতা বললেন, ‘কলকাতাকে আমরা যেভাবে দেখি, সেটাই তো শহরের আসল রূপ নয়। গভীরে গভীরে অনেক স্তর রয়েছে। বাংলা ছবিতেও সেগুলো উঠে আসেনি। আমি মনে করি, এই ছবির মাধ্যমে সেগুলো দর্শক জানতে পারবেন।’

বাংলাদেশের অপু বিশ্বাস কলকাতার ছবিতে

By SHAMIM LEM →

নিজেকে ফ্রেশ ও সুন্দর দেখাতে সেলুনে যান আপনি। কিন্তু জানেন কি এই সেলুন থেকে হতে পারে বিপত্তি। কমিউনাল এরিয়ার মতো আপনার স্থানীয় সেলুন থেকেও আপনি ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে আপনাকে।

আসুন জেনে নেই কীভাবে সেলুন থেকে হতে পারে ইনফেকশন।

চিরুনি, কাঁচি ও রেজার ডার্মাটোলজিক, এমওএইচএস, কসমেটিক ও লেজার সার্জারির ডার্মাটোলজিস্ট অ্যান্থনি এম. রসি বলেন, ‘ফলিকিউলিটিস হচ্ছে, চুলের গ্রন্থিকোষের প্রদাহ যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দ্বারা হয়ে থাকে। এটি দেখতে ছোট সাদা ব্রণের মতো (পুঁজে পূর্ণ থাকে)।’ এটি সাধারণত স্টাফাইলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে, যা সাধারণত যথাযথভাবে স্যানিটাইজ করা হয়নি এমন চিরুনি, কাঁচি অথবা রেজারের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। চুলকানি সেলুনে ব্যবহৃত চিরুনি বা রেজারকে লিকুইড সল্যুশন অথবা তরল দ্রবণে দিলে যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত হয়।
আর যদি তা না করা হয় তবে আপনার বারবার’স ইচ হতে পারে।বারবার’স ইচ হচ্ছে একপ্রকার ফলিকিউলিটিস, যা জীবাণুমুক্ত করা হয়নি এমন ইনস্ট্রুমেন্ট থেকে সংক্রমিত হওয়ার পর আপনার বিয়ার্ড এরিয়া অথবা স্কাল্পে ডেভেলপ হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া চুলের গ্রন্থিকোষে আক্রমণ করে, যার ফলে রেড বাম্প ও পুঁজযুক্ত ব্রণ বা ফুসকুড়ি ওঠতে পারে এবং তারা চুলকানি হতে পারে। চুল পড়া সেলুনে ভালোভাবে স্যানিটাইজ করা হয়নি এমন চিরুনি বা টাওয়েলের মাধ্যমে এটি ছড়াতে পারে এবং তীব্র ক্ষেত্রে এটি স্থায়ী দাগ ও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। টিনি ক্যাপিটাইসের চিকিৎসায় প্রায়ক্ষেত্রে ওরাল অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের প্রয়োজন হয়। ইম্পিটিগো ইম্পিটিগো হচ্ছে, একটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন যা প্রধানত স্টাফ অথবা স্ট্রেপ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হতে পারে।
এটি অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে অধিক কমন হলেও আপনার যেকোনো বয়সে এটি হতে পারে এবং এটি
ছড়ানোর সর্বাধিক কমন মাধ্যম হচ্ছে- ত্বক থেকে ত্বকের সংস্পর্শ, কাপড় অথবা টাওয়েল। টিটেনাস টিটেনাসের কথা বললে আপনি মরচে ধরা কোনো ধাতব বস্তুতে শরীরের কোনো অংশ কেটে যাওয়া অথবা বিদ্ধ হওয়ার কথা ভাবতে পারেন, কিন্তু সেলুনের জং-ধরা যন্ত্রপাতির মাধ্যমেও আপনার টিটেনাস হতে পারে। হার্পিস আপনি কি ম্যানস্কেপিং করতে আগ্রহী? যদি আপনি ওয়াক্সিং করতে চান, তাহলে বলা প্রয়োজন যে এ বিষয়ে আপনার সতর্ক থাকার প্রয়োজন আছে।

সেলুন থেকে হতে পারে ইনফেকশন

By SHAMIM LEM →


কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদনটি দাখিল করেন তার আইনজীবী মাসুদ রানা

বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর ২-১ দিনের মধ্যে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ আইনজীবী। মাসুদ আরও জানান, ২০-দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া পেট্রলবোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। গত ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেফতার দেখানোপূর্বক জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সে আবেদন নামঞ্জুর করে ৮ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিনসহ আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

খালেদার জামিন আবেদন, কুমিল্লার এক মামলায়!

By SHAMIM LEM →


নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ল্যাপটপ চালানো শিখতে না পারলে মন্ত্রিত্ব হারাবেন মন্ত্রীরা। কারণ প্রধানমন্ত্রী চান তাঁর দপ্তর হবে কাগজপত্রহীন। তাই ল্যাপটপ চালানো শিখতে মন্ত্রীদের ছয় মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি তাঁর মন্ত্রীদের জন্য এমন হুঁশিয়ারি দেন। কেপি শর্মা অলি ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।  কাঠমান্ডু পোস্টের বরাত দিয়ে পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, নেপালের জাতীয় শিক্ষকদের সংগঠনের ১২তম সাধারণ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিপরিষদের কেউ ল্যাপটপ চালাতে না পারলে তাঁকে পদচ্যুত করা হবে। অলি বলেন, ‘আমি এর মধ্যে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বলেছি, আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দপ্তরকে কাগজবিহীন করব। বৈঠকের অনুষ্ঠানসূচি ও আলোচ্যসূচি ল্যাপটপ ব্যবহার করে ঠিক করা হবে। তাই মন্ত্রীরা চাইলে ল্যাপটপ চালানো শিখতে তাঁদের সহকারীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে পারেন।’ নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে দেশকে তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে অলি বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে কেউ ল্যাপটপ চালানো শিখতে না পারলে, আমরা তাকে বিদায় জানাব। তবে এ সময় তাঁকে একটি ল্যাপটপ দেওয়া হবে, যাতে তিনি তাঁর পরবর্তী মেয়াদের জন্য ল্যাপটপ-বান্ধব হয়ে উঠতে পারেন।’

নেপালে ল্যাপটপ চালাতে না পারলে মন্ত্রীদের চাকরি থাকবে না

By SHAMIM LEM →


মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে দেশের বাইরে গিয়ে এবার বিতর্কের মুখে পড়লেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় এক অনুষ্ঠানে প্রবাসী এক ফিলিপাইনের নারী শ্রমিককে চুমু খেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন দুতার্তে। বিবিসি ও সিএনএনের খবরে বলা হয়, গতকাল রোববার দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত নিজ দেশের শ্রমিকদের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। অনুষ্ঠানের দেওয়া বক্তব্য শেষে এক নারীকে মঞ্চে ডেকে নেন দুতার্তে। এরপর তাঁকে চুমু দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করেন। এমন দৃশ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজন উল্লাস প্রকাশ করলেও তিনি বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আলোচনা চলছে রদ্রিগো দুতার্তের এই কর্মকাণ্ড নিয়ে। সিউলে প্রবাসী ফিলিপিনো শ্রমিকদের সংগঠন ওএফডব্লিউ ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে ওই বিতর্কিত ঘটনাকে ‘একজন নারীবিদ্বেষী প্রেসিডেন্টের বিরক্তিকর নাটক’ বলে বর্ণনা করেছে ফিলিপাইনের অধিকার আন্দোলনকারী নারীরা। অনুষ্ঠানে একটি বইয়ের ফ্রি কপি নেওয়ার জন্য দুই ফিলিপিনো নারীকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানান দুতার্তে। ওই দুই নারী মঞ্চে দুতার্তের পাশে দাঁড়াতে পেরে তাদের অত্যন্ত আনন্দিত দেখাচ্ছিল। এদের মধ্যে প্রথমজনকে জড়িয়ে ধরে তার গালে চুমু দেন দুতার্তে, এরপর দ্বিতীয় নারীর ঠোঁটে চুমু দেওয়ার জন্য ইঙ্গিত করেন। প্রেসিডেন্টের এমন ইশারায় ওই নারী নার্ভাস ভঙ্গিতে হাসতে থাকেন এবং অস্বস্তিতে পড়েন। এ সময় প্রেসিডেন্ট তাঁকে আবারও একই ইঙ্গিত করেন এবং শেষে কিছুটা সামনে ঝুঁকে ওই নারীর ঠোঁটে চুমু দেন। সরাসরি প্রচারিত হওয়ায় রদ্রিগো দুতার্তের এই কর্মকাণ্ডে ইন্টারনেটে অনেকেই নানা সমালোচনামূলক মন্তব্য করছিলেন। এর আগেও নারীদের সঙ্গে অসংগত আচরণের কারণে অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন দুতার্তে। ফিলিপাইনের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সিএননের খবরে বলা হয়, অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ওই নারীকে বলেন, তুমি কি একা (অবিবাহিত)? তুমি কি তোমার স্বামীর কাছ থেকে আলাদা থাকো? তুমি তাকে বলো যে এটা শুধুই একটা জোক। দুই সন্তানের এই জননীর নাম বি কিম। দক্ষিণ কোরিয়ার এক নাগরিককে তিনি বিয়ে করেছেন।
ফিলিপাইন থেকে শারমানি কুইনতো নামের একজন টুইটারে লেখেন, ‘ওএফডব্লিউ থেকে যে চুমুটি ‘চাইলেন’ দুতার্তে? তা হয়রানির নমুনা। মূলত তিনি তার ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের প্রভাব খাটিয়ে ওই নারীর কাছ থেকে সম্মতি আদায় করে নিলেন।’ কাইলি ইউনাইস নামের আরেকজনের টুইট, ‘বিদেশে প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে একজনের সঙ্গে এমন কাজ করা অত্যন্ত অনৈতিক; যতক্ষণ তাঁর ব্যক্তিগত কার্যসিদ্ধি হয় ততক্ষণ নৈতিক ও অনৈতিকতার মধ্যে, সৎ ও অসতের মধ্যে ব্যবধান দুতার্তের কাছে অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। গুডলাক, পিএইচ।’ দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় একজন আরজে এবং সাংবাদিক বারাতে ফেসবুকে দুতার্তের এমন কাজের জন্য কঠোর সমালোচনা করে লেখেন, ‘ক্ষমতায় আছেন বলেই কি এমন কিছু? ওই নারীকে দোষ দেবেন না। এই লোকটি চরম বিরক্তির। আপনার ভিডিওটি দেখলেই বুঝবেন প্রেসিডেন্ট ওই নারীকে প্রভাবিত করেছেন। এটা ওই নারীর জন্য অস্বস্তির। ক্ষমতার খেল এখানেই। একজন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিক কোনো অনুষ্ঠানে এমন কিছু করতে পারেন না।’ প্রায় দুই বছর আগে ফিলিপাইনের ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। তাঁর এই যুদ্ধ ছিল অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধের নিহত মানুষের সঠিক সংখ্যা পুলিশ জানে না। সন্দেহভাজন মাদকসেবী ও বিক্রেতার লাশ অন্ধকারে, ব্রিজের নিচে ও ময়লার স্তূপে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক সময় নিহত ব্যক্তির গলায় কার্ডবোর্ডে লেখা থাকে, ‘আমি একজন মাতাল। আমাকে পছন্দ করবেন না।’ ফিলিপাইনের মাদকযুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। মানবাধিকারগোষ্ঠী, সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের নিহত মানুষের সংখ্যা নিয়ে পৃথক পরিসংখ্যান রয়েছে। সরকার নিজেই জানিয়েছে, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে মাদক-সংশ্লিষ্ট হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৩৫৫টি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে এবং ৩ হাজার ৯৬৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে পুলিশি অভিযানে। দুতার্তের এই কাজের ব্যাপক সমালোচনা দেশজুড়ে।

কথার জন্য নয়, অন্য কারণে শিরোনাম দুতার্তে

By SHAMIM LEM →