নোয়াখালিতে বাংলাদেশী হয়ে- মিয়ানমারের বেসামরিক অংশের নেত্রী অং সান সুচির নিপীড়নের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন ।তাদের মাঝে আধিকাংশ নারী ও শিশু। আশ্রয়কৃত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বিভিন্ন অবৈধ উপায় বেচে নেয়।আজ বাংলাদেশী হয়ে পাসপোর্ট করার জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসে ৪ রোহিঙ্গা তরুণী। তাদের কে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালি থেকে তাদের হাতে নাতে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আসা হামিদুল্লার মেয়ে নূর বিবি (১৪), সলিমউল্লার মেয়ে আমেনা বেগম (২৩), মো. মামু সুলতানের মেয়ে রাশিদা আক্তার (১৬), মোহাম্মদ এর মেয়ে আনোয়ারা বেগম (১৭)। তারা সবাই স্থানীয় দালালের মাধ্যমে কক্সবাজার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছে। এমন সময় খবর পেয়ে নোয়াখালি সদরের মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামানের নির্দেশে পুলিশ পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায়। ওই সময় হাতেনাতে চার নারীকে আটক করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করার জন্য নোয়াখালি পাসপোর্ট অফিসে আসেন। তারা নোয়াখালিতে ঠিকানা দিয়ে পাসপোর্ট করতে চেয়েছিল। চার নারীর মধ্যে রাশিদা আক্তারের ফাইল পুরোপুরিভাবে কাজ সম্পূর্ন করে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। বাকি তিন জনের পাসপোর্টের কাজ চলছিল। পুলিশ আরো জানায়, ধারনা করা হচ্ছে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারদের সহযোগীতা নিয়ে রোহিঙ্গা নারীরা পাসপোর্ট করছিল। গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গা তরুণী নূর বলেন , বাংলাদেশি কিছু দালাল আছে তাদেরকে এক হাজার দিলে ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে এনে বাসে তোলে দেওয়া হয়। সেখানে বাসের ড্রাইভারকে আরো এক হাজার টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে নরসিংদী আসে। ভালভাবে জীবনযাপন করতেই সেখান থেকে এখানে আসা। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, টাকা হলে রোহিঙ্গারাও পাসপোর্ট পায়। নোয়াখালি পাসপোর্ট অফিস সহকারী সূজন হাওলাদার ও আরিফুল হক সুমনের সহযোগিতা এসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে। আর নেপথ্যে থেকে এসবের সহযোগীতা করছেন পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক। মূলত টাকার জন্যই তারা এসব অবৈধ কাজ করছেন । আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নোয়াখালির উপ-পরিচালক জেবুন্নেছার কাছে এ ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে নারাজ ছিলেন। সদর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক তাপস কুমার রায় ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান , জেলা স্পেশাল ব্যাঞ্চ (ডিএসবি) নোয়াখালি মডেল থানাকে ঘটনার কথা জানালে , তৎপরতার সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে চার রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়। তাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে রাখা হয়। পরে তাদেরকে পূনরায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে। তবে কবে তাদের পাঠানো হবে এ বিষয়ে কিছু বলেননি ।
SHAMIN REZA

I'm Jillur Rahman. A full time web designer. I enjoy to make modern template. I love create blogger template and write about web design, blogger. Now I'm working with Themeforest. You can buy our templates from Themeforest.

No Comment to " নোয়াখালিতে বাংলাদেশী হয়ে পাসপোর্ট করার সময় চার রোহিঙ্গা তরুণী গ্রেফতার "